কৃষি বাংলাদেশের অন্যতম চালিকা শক্তি। আর তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একটি পরিকল্পিত দেশ গঠনের জন্য শুধু ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নয় বরং নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্যের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এর জন্য সনাতন কৃষি উৎপাদন পদ্ধতির স্থলে দেশে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়ছে এবং পেশা হিসেবে কৃষি জীবিকা নির্বাহের স্তর থেকে বানিজ্যিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের জনগণের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা: পুষ্টি-সংবেদশীল খাদ্য ব্যবস্থা (সিআইপি-২) মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের লক্ষ আমরা উন্নত রাষ্ট্রে উপনিত হবো শুধু অর্থনীতির দিক দিয়ে নয় আমরা উন্নত হবো পুষ্টি সমৃব্ধ নিরাপদ খাদ্যের জাতী হিসেবেও। সেই লক্ষ অর্জনে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে । সরকার চেয়েছে খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণতা অর্জন করতে এবং সেলক্ষ্যে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসপূর্ণ হয়েছে। এরই ধারাবাহিতকায় কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক, উন্নত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ ব্যবহার জোরদার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মানুষ এখন খুদার জ্বালায় কষ্ট পায় না। দেশ আজ নিম্ন মধ্যবৃত্ত থেকে মধ্যম আয়ের দেশের পথে এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের পথে। সেই উন্নত রাষ্ট্রপরিচালনায় যারা নের্তৃত্ব দেবে তাদের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিয়তা আমাদের করতে হবে। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন ও ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে। সকল সময়ে দেশের সকল মানুষের জন্য নিভর্রযোগ্য খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়ন এবং দরিদ্র জনগণের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করণ। খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এর কাজ করছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ এর সভাপতিতেআরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডল, ইউএসএআইডি এর মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, হেড অব কো অপারেশন ডেলিগেশন অব দ্যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এর মিনিস্টার কাউন্সেলর মারিও রনকোনি, এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ ইন বাংলাদেশ রবার্ট ডি সিম্পসন।